ঐহিত্যবাহী এক জনপদের নাম কিশোরগঞ্জ। যেখানে শিল্প,সাহিত্য,সংস্কৃতিতে এগিয়ে থাকে কিশোরগঞ্জ জেলাটি। কিন্তু এই জেলা শহরে মাত্র দুইটি সরকারী বিদ্যালয়। বিদ্যালয় দুটির আসন সংখ্যা সীমিত হওয়া সরকারী বিদ্যালয়গুলোতে যখন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও আসন কম থাকার কারনে ভর্ করাতে পারেনা। তখন বিশাল এক মানুষিক কষ্টের মধ্যে দিনাপাত করে যা ভোক্তভোগী অভিভাবকরাই জানেন। এসব সম্মানিত অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার লাকুহাটি গ্রামের প্রপিতামহ হাজী হোসেন আলী সাহেব ও জাবেদ আলী সাহেবের নাতী, আলহাজ্ব আব্দুল মোতালিব সাহেবের জৈষ্ঠ্য পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে শিক্ষার্ীদের যোগ্য মানুষ করে গড়ে তোলার লক্ষ নিয়ে ২০১৪ সালের ১০ মার্ কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
“আজকের পৃথিবী আগামী প্রজন্মের কাছ থেকে ধার নেয়া” একটি উদ্বৃতি দিয়ে শুরু করলাম। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। অন্যথায় ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে হয়তো দায়বদ্ধতা থেকে যাবে। আর একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে শিা। মানব সভ্যতার শুরু থেকে আজকের পৃথিবী যে উন্নতির উৎকর্ষে ধাবিত হয়েছে এর মূলে রয়েছে শিা। একটি জাতি সভ্য করে গড়ে তুলতে শিার কোন বিকল্প নেই। নেপোলিয়ন যথার্থই বলেছেন- “আমাকে একটি শিতি মা দাও আমি তোমাকে একটি শিতি জাতি উপহার দিব”। “ শিা জাতির মেরুদ-” এ কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আজকের সমাজে শিার যে নৈতিক অবয় শুরু হয়েছে সে কথাটির সাথে আমি একমত পোষণ করতে পারছি না। আমি একটু বাড়িয়ে বলতে চাই “নৈতিক শিাই জাতির মেরুদ-”।
বর্তমান সমাজে নৈতিক অবয়ের যে নিকৃষ্ট যাত্রা শুরু হয়েছে আদিম যুগের মানুষও তার কাছে হার মানবে। অর্ধ শিতি, শিতি, উচ্চ শিতি ডিগ্রিধারী, উচ্চ পরিবারের ব্যক্তিও বাদ যায়নি এ নৈতিক অবয়ের মিছিল থেকে। দিনে দিনে আরো দীর্ঘ হচ্ছে এ নৈতিক অবয়ের মিছিল। পত্র পত্রিকা নিউজ মিডিয়ার কল্যাণে এসব নৈতিক অবয়ের সংবাদ সমাজের সকল ব্যক্তিই অবগত আছেন। বর্তমানে দেশে যেমন শিার প্রসার বাড়ছে, শিতি মানুষের হার বাড়ছে তেমনি। সাথে সাথে নৈতিক অবয়ের পাল্লাও হচ্ছে ভারী। তাই নৈতিক শিা সমাজে আজ খুবই অপরিহার্য। একমাত্র নৈতিক শিাই পারে একটি সুন্দর সমাজ উপহার দিতে। আর তার জন্য চাই একটি ভাল মানের শিা প্রতিষ্ঠান। যেখানে হবে নৈতিক শিার চর্চা, ও ভাল মানুষ গড়ে তোলার জন্য দেওয়া হবে আদর্শ শিা। একজন অন্ধ লোককে যদি মশাল হাতে অন্ধকারের ভিতর দিয়ে পথ দেখানোর জন্য বলা হয় সে পথ দেখানো দূরে থাক বাড়ি ঘরে আগুন লাগিয়ে আরো বেশি তি করবে। তাই শিার মশাল যেন কোন নৈতিক ও আদর্শ শিায় শিতি ব্যক্তির হাতে উঠে। আপনার সন্তানকে নৈতিক ও আদর্শ শিায় শিতি করে গড়ে তুলতে কিশোরগঞ্জ শহরে “কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ” নামে একটি স্বতন্ত্র শিা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে তথ্য প্রযুক্তি ও সেবা সুবিধা সমৃদ্ধ মাল্টিমিডিয়া কাস রুমে কাস পরিচালনা করা হবে। সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ আপনারা এই সব সুন্দর বা বাণীর চরণ আগেও শুনেছেন। তবুও পরিশেষে আমি তিনটি উদ্বৃতি দিয়ে আমার কথা শেষ করছি।
“একদিন গ্রামের সব গ্রামবাসী মিলে সিদ্ধান্ত নিল তারা বৃষ্টির জন্য দোয়া করবে। সবাই সমবেত হলো, কেবল একটি ছেলে ছাতা সহ এল”– এটাই বিশ্বাস।
“আপনি যখন কোন শিশুকে শূন্যে ছুঁড়ে খেলা করবেন, তখন সে হাসতে থাকে কারণ সে জানে আপনি তাকে আবার ধরে ফেলবেন”– এটাই ভরসা।
“প্রতিরাতে আমরা যখন ঘুমোতে যাই, কোন নিশ্চয়তা নেই আমরা পরের দিন আবার জেগে উঠতে পারব। তবুও আমরা পরের দিনের জন্য এলার্ম দিয়ে রাখি”।– এটাই আশা।
“আর আশা নিয়ে আমরা বেঁচে থাকি, স্বপ্ন দেখি আরেকটি নতুন দিনের…….।
সবার কাছে অন্তত প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনের অনুরোধ, দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
মো:রফিকুল ইসলাম
অধ্যক্ষ
কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

Physical Training (PT)